অটুট বন্ধুত্বের এক অনন্য উদাহরণ চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক

অটুট বন্ধুত্বের এক অনন্য উদাহরণ চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক

অটুট বন্ধুত্বের এক অনন্য উদাহরণ চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক

আন্তর্জাতিক

ঝাও শাইরেন

2023-05-21
2023-05-21

চীন ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭২ বছর পূর্ণ হলো রোববার (১৯ মে)। ১৯৫১ সালের পর নানা সংকটে একসঙ্গে ছিল এই দুই দেশ। বিভিন্ন বৈরী পরিবেশে একে অপরের বন্ধুত্বের পরীক্ষায় পাশও করেছে চীন-পাকিস্তান। এখন তা উদযাপনের মোক্ষম সময়। 
গত ৭২ বছরে পারস্পরিক সমর্থন, সহায়তা, শ্রদ্ধাবোধের জায়গায় অটুট ছিল এই দুই দেশ। এক দেশ অন্য দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যেমন ভূমিকা পালন করেছে, তেমনি পারস্পরিক সুবিধা প্রদানের বেলায়ও সচেতন ছিল।  
চীন-পাকিস্তানের এই অটুট বন্ধন শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বিশ্বশান্তির জন্য বিশাল অবদান নয়, দুই রাষ্ট্রের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে দুটি দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের অনন্য এক উদাহরণ। 
গত তিন বছর হাতে হাত মিলিয়ে করোনা মোকাবিলা করেছে এই দুই দেশ। বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে দেশটির সহায়তায় যথাসাধ্য এগিয়ে এসেছে চীন। ঋণ সহায়তা দিয়ে পাকিস্তানের কষ্ট লাঘবে পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। 
সর্বশেষ গত নভেম্বরে চীন সফরে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে ফোনালাপও করেছেন তিনি। এ মাসের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিং গ্যাং ইসলামাবাদ সফর করেছেন।
২০২৩ সালে চীনের বেল্ট ও রোড ইনিশিয়েটিভের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে চাঙা করতে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে এ করিডোর। ২০২২ সাল পর্যন্ত এর মাধ্যমে প্রায় আড়াই লাখেরও বেশি শ্রমিকের চাকরি জুগিয়েছে চীন। 
ইতিহাস বলছে, পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক সব রাজনৈতিক বাধা অতিক্রম করেছে। এ সম্পর্ক আরও উন্নত স্তরে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে দুই দেশকে। পাকিস্তান জাতির পিতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ একবার বলেছিলেন- সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হব। আর তাই করছে পাকিস্তান ও চীন। 
লেখক: পাকিস্তানের লাহোরে নিযুক্ত চীনের কনসাল জেনারেল। দ্য ডনে প্রকাশিত নিবদ্ধটি ভাষান্তর করেছেন সজীব হোসেন। 

© JUGANTOR.COM

‘.”

“.’

চীন ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭২ বছর পূর্ণ হলো রোববার (১৯ মে)। ১৯৫১ সালের পর নানা সংকটে একসঙ্গে ছিল এই দুই দেশ। বিভিন্ন বৈরী পরিবেশে একে অপরের বন্ধুত্বের পরীক্ষায় পাশও করেছে চীন-পাকিস্তান। এখন তা উদযাপনের মোক্ষম সময়। 

গত ৭২ বছরে পারস্পরিক সমর্থন, সহায়তা, শ্রদ্ধাবোধের জায়গায় অটুট ছিল এই দুই দেশ। এক দেশ অন্য দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যেমন ভূমিকা পালন করেছে, তেমনি পারস্পরিক সুবিধা প্রদানের বেলায়ও সচেতন ছিল।  

চীন-পাকিস্তানের এই অটুট বন্ধন শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বিশ্বশান্তির জন্য বিশাল অবদান নয়, দুই রাষ্ট্রের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে দুটি দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের অনন্য এক উদাহরণ। 

গত তিন বছর হাতে হাত মিলিয়ে করোনা মোকাবিলা করেছে এই দুই দেশ। বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে দেশটির সহায়তায় যথাসাধ্য এগিয়ে এসেছে চীন। ঋণ সহায়তা দিয়ে পাকিস্তানের কষ্ট লাঘবে পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। 

সর্বশেষ গত নভেম্বরে চীন সফরে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে ফোনালাপও করেছেন তিনি। এ মাসের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিং গ্যাং ইসলামাবাদ সফর করেছেন।

২০২৩ সালে চীনের বেল্ট ও রোড ইনিশিয়েটিভের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে চাঙা করতে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে এ করিডোর। ২০২২ সাল পর্যন্ত এর মাধ্যমে প্রায় আড়াই লাখেরও বেশি শ্রমিকের চাকরি জুগিয়েছে চীন। 

ইতিহাস বলছে, পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক সব রাজনৈতিক বাধা অতিক্রম করেছে। এ সম্পর্ক আরও উন্নত স্তরে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে দুই দেশকে। পাকিস্তান জাতির পিতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ একবার বলেছিলেন- সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হব। আর তাই করছে পাকিস্তান ও চীন। 

লেখক: পাকিস্তানের লাহোরে নিযুক্ত চীনের কনসাল জেনারেল। দ্য ডনে প্রকাশিত নিবদ্ধটি ভাষান্তর করেছেন সজীব হোসেন। 
সোর্সঃ jugantor.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *