আজমত উল্লাকে চ্যালেঞ্জ জাহাঙ্গীরের মা জায়েদার

আজমত উল্লাকে চ্যালেঞ্জ জাহাঙ্গীরের মা জায়েদার

আজমত উল্লাকে চ্যালেঞ্জ জাহাঙ্গীরের মা জায়েদার

সারাদেশ

গাজীপুর প্রতিনিধি

2023-05-21
2023-05-21

নির্বাচনী মাঠে পঞ্চমবার হামলার শিকার হয়ে ‘ভোট ও ছেলের নিরাপত্তা’ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আমি একজন মেয়ে মানুষ এবং একেবারেই নতুন, আপনি একজন পুরোনো অভিজ্ঞ লিডার, আমাকে আপনার এত ভয় কেন? হামলা-মামলা, হয়রানি বন্ধ করে সুষ্ঠু ভোটে আসুন, জনমত কার পক্ষে ২৫ তারিখ তা প্রমাণ করে দেব।
শনিবার বিকালে টঙ্গীতে নির্বাচনি প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও নৌকার কর্মী-সমর্থকদের দ্বারা হামলার শিকার হয়ে ওই রাত ১০টায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে ‘ভোট ও নিজের ছেলের জীবনের নিরাপত্তা’ চেয়ে বলেন, আমার ছেলের জীবনের নিরাপত্তা চাই, ভোটের নিরাপত্তা চাই, ২৫ তারিখ আমার ভোটটা আমি গুনে নিতে চাই, এই ভোটটা যেন নিজে বুইঝ্যা পাই।
তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আগে আল্লাহ পরে আপনারা, আমার ছেলে যেখানেই থাকুক, ষড়যন্ত্র করতেছে হয়তো আমার ছেলেকে আটকে দেবে। আটকে দিলে আপনারা আমার পাশে থাকবেন। যতই মারামারি করুক, আমি ২৫ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থাকব।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে যে লোকজন থাকে, সাংবাদিকরা যে যায় এদের গাড়ি পর্যন্ত ভাংচুর করে, আমাদের ঢিলায়, বড় বড় ঢিল ছুড়ে, রক্তাক্ত করে, আমাদের সঙ্গে যারা থাকে তাদের হাত-পা ভেঙে দেয়।
 
তিনি বলেন, শনিবার আজমত উল্লাকে আমাদের এলাকার এই পথে ঢুকতে দেখে আমরা টঙ্গীতে প্রচারণা করতে যাই। টঙ্গীতে যাওয়ার পর সামনে একদল, পেছনে আরেক দল থেকে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বড় বড় ইট দিয়ে ঢিল দিয়েছে। আমাদের মাথার ওপর দিয়ে, গাড়ির উপর দিয়ে টাইন্যা-ছিঁইড়্যা গাড়ি থেকে নামাইয়া দিছে।
তিনি বলেন, আমি একজন প্রার্থী, আজমত উল্লাহও একজন প্রার্থী। উনি এবং আরও কাউন্সিলররা কাগজ (লিফলেট/পোস্টার) দিতেছে, কারোটা ছিঁড়ে না, আমারটা ছিঁইড়া ফালাইতেছে। সঙ্গে সঙ্গে ছিঁইড়া ফালায় আজমত উল্লার সাথের নেতারা। সে নিজে পর্যন্ত চাইয়া ছিঁইড়া ফালাইতাছে।
সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এজেন্টদের বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্টে নিয়ে পেন্ডিং মামলায় চালান করছে। কাকে গ্রেফতার করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেউ জানতে পারছে না, পরিবারের সদস্যরাও জানেন না কোথায় নিয়ে রাখা হচ্ছে।
হয়রানি বন্দের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কাউকে আটক বা গ্রেফতার করলে আমাদের জেলাতেই রাখেন, এই জেলায় গ্রেফতার হলে এই জেলায়ই রাখুন, কাউকে সাভার, কাউকে আশুলিয়ায়, কাউকে ঢাকায়, কাউকে নেত্রকোনা, কাউকে কিশোরগঞ্জ, কাউকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছেন কেন?
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক, শেষপর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। আমাকে এরেস্ট করবেন? নিয়ে যান। আমি ঘরেই থাকি।
তিনি বলেন, দুদক আমাকে এক রাতে দুইটি চিঠি দিয়েছে, একটি চিঠিতে ২১ মে আর অপর চিঠিতে ২২ মে আমাকে দুদক কার্যালয়ে যেতে বলেছে। ‘আমি বহিষ্কৃত থাকাবস্থায় ১৮ মাস দুদক কোথায় ছিল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রচারণার আছে আর মাত্র তিন দিন। আমি যাতে মায়ের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় না থাকতে পারি সেজন্য হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি গ্রেফতার হলে আপনারা আমার মায়ের সঙ্গে থাকবেন, আমার মা আপনাদেরও মা। আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা মাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন, নিজ দায়িত্বে কেন্দ্রে গিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোটটা দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবেন।

© JUGANTOR.COM

‘.”

“.’

নির্বাচনী মাঠে পঞ্চমবার হামলার শিকার হয়ে ‘ভোট ও ছেলের নিরাপত্তা’ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আমি একজন মেয়ে মানুষ এবং একেবারেই নতুন, আপনি একজন পুরোনো অভিজ্ঞ লিডার, আমাকে আপনার এত ভয় কেন? হামলা-মামলা, হয়রানি বন্ধ করে সুষ্ঠু ভোটে আসুন, জনমত কার পক্ষে ২৫ তারিখ তা প্রমাণ করে দেব।

শনিবার বিকালে টঙ্গীতে নির্বাচনি প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও নৌকার কর্মী-সমর্থকদের দ্বারা হামলার শিকার হয়ে ওই রাত ১০টায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে ‘ভোট ও নিজের ছেলের জীবনের নিরাপত্তা’ চেয়ে বলেন, আমার ছেলের জীবনের নিরাপত্তা চাই, ভোটের নিরাপত্তা চাই, ২৫ তারিখ আমার ভোটটা আমি গুনে নিতে চাই, এই ভোটটা যেন নিজে বুইঝ্যা পাই।

তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আগে আল্লাহ পরে আপনারা, আমার ছেলে যেখানেই থাকুক, ষড়যন্ত্র করতেছে হয়তো আমার ছেলেকে আটকে দেবে। আটকে দিলে আপনারা আমার পাশে থাকবেন। যতই মারামারি করুক, আমি ২৫ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থাকব।

তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে যে লোকজন থাকে, সাংবাদিকরা যে যায় এদের গাড়ি পর্যন্ত ভাংচুর করে, আমাদের ঢিলায়, বড় বড় ঢিল ছুড়ে, রক্তাক্ত করে, আমাদের সঙ্গে যারা থাকে তাদের হাত-পা ভেঙে দেয়।
 
তিনি বলেন, শনিবার আজমত উল্লাকে আমাদের এলাকার এই পথে ঢুকতে দেখে আমরা টঙ্গীতে প্রচারণা করতে যাই। টঙ্গীতে যাওয়ার পর সামনে একদল, পেছনে আরেক দল থেকে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বড় বড় ইট দিয়ে ঢিল দিয়েছে। আমাদের মাথার ওপর দিয়ে, গাড়ির উপর দিয়ে টাইন্যা-ছিঁইড়্যা গাড়ি থেকে নামাইয়া দিছে।

তিনি বলেন, আমি একজন প্রার্থী, আজমত উল্লাহও একজন প্রার্থী। উনি এবং আরও কাউন্সিলররা কাগজ (লিফলেট/পোস্টার) দিতেছে, কারোটা ছিঁড়ে না, আমারটা ছিঁইড়া ফালাইতেছে। সঙ্গে সঙ্গে ছিঁইড়া ফালায় আজমত উল্লার সাথের নেতারা। সে নিজে পর্যন্ত চাইয়া ছিঁইড়া ফালাইতাছে।

সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এজেন্টদের বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্টে নিয়ে পেন্ডিং মামলায় চালান করছে। কাকে গ্রেফতার করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেউ জানতে পারছে না, পরিবারের সদস্যরাও জানেন না কোথায় নিয়ে রাখা হচ্ছে।

হয়রানি বন্দের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কাউকে আটক বা গ্রেফতার করলে আমাদের জেলাতেই রাখেন, এই জেলায় গ্রেফতার হলে এই জেলায়ই রাখুন, কাউকে সাভার, কাউকে আশুলিয়ায়, কাউকে ঢাকায়, কাউকে নেত্রকোনা, কাউকে কিশোরগঞ্জ, কাউকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছেন কেন?

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক, শেষপর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। আমাকে এরেস্ট করবেন? নিয়ে যান। আমি ঘরেই থাকি।

তিনি বলেন, দুদক আমাকে এক রাতে দুইটি চিঠি দিয়েছে, একটি চিঠিতে ২১ মে আর অপর চিঠিতে ২২ মে আমাকে দুদক কার্যালয়ে যেতে বলেছে। ‘আমি বহিষ্কৃত থাকাবস্থায় ১৮ মাস দুদক কোথায় ছিল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রচারণার আছে আর মাত্র তিন দিন। আমি যাতে মায়ের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় না থাকতে পারি সেজন্য হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি গ্রেফতার হলে আপনারা আমার মায়ের সঙ্গে থাকবেন, আমার মা আপনাদেরও মা। আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা মাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন, নিজ দায়িত্বে কেন্দ্রে গিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোটটা দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবেন।
সোর্সঃ jugantor.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *