ইসির ক্ষমতা কিছুটা হলেও বেড়েছে; ইসি রাশেদা
ইসির ক্ষমতা কিছুটা হলেও বেড়েছে; ইসি রাশেদা
জাতীয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
2023-05-21
2023-05-21
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীতে নতুন বিধান যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি জানান, পুরো নির্বাচন বাতিলসংক্রান্ত আরপিওর ৯১(ক) ধারা সংশোধনে ইসি কোনো প্রস্তাব না দেওয়ায় তা বহাল রয়েছে। ৯১(ক) অনুচ্ছেদের সঙ্গে (ক) উপধারা যুক্ত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণার পরও নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্র বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে ফল ঘোষণার পর বন্ধের ক্ষমতা ছিলই না, সেখানে তো কিছুটা হলেও (কেন্দ্র বন্ধ করার) ক্ষমতা বাড়ল। আমাদের লক্ষ্য পুরোটা না হলেও কিছুটা তো অর্জন হয়েছে। পুরো নির্বাচনি আসনের ফল বাতিলের ক্ষমতা পেলে ভালো। কেননা, যারা অনিয়ম করে তাদের মধ্যে তখন একটা ভয় থাকত যে ভোট বাতিল হয়ে যাবে, আবার হ্যাপাটা (ঝামেলা) নিতে হবে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৃহস্পতিবার আরপিও সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে ইসি কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে না। এরপর আরপিও সংশোধনী নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ওঠে। কেউ কেউ বলেন, আরপিওতে ইসির ক্ষমতা কমানো হয়েছে। ৯১(ক) অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে ইসিকে নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট বন্ধের ক্ষমতা দেওয়া আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা ৯১(ক) সংশোধন নিয়ে কোনো প্রস্তাবনা দেইনি। যে প্রস্তাবনা যায়নি, সেটা বাতিল হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, আমরা যখন সিসি ক্যামেরায় দেখলাম গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না, তখন আমরা ৯১(ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে ওই নির্বাচনটা বন্ধ করেছিলাম। ওই ধারায় এখনও বন্ধ করতে পারব।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন যে ৯১(ক) তে নির্বাচন চলাকালীন ভোট বন্ধ করে দেওয়ার যে ক্ষমতা ইসির ছিল সেটা বোধহয় খর্ব হয়েছে। বিষয়টা তা নয়। আমি যতটুকু বুঝি, ওইটা তো হবেই না। কেননা, আমরা তো ওইটা চাই-ই নাই। সেখানে প্রস্তাবনা হলোÑ৯১(ক) এর সঙ্গে ক(ক) বলে আরেকটা উপ-অনুচ্ছেদ যোগ দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের ফলাফল কমিশনে পাঠানোর পরও নির্বাচন নিয়ে অনেক সময় অভিযোগ আসে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, এই সময়টার মধ্যে কোনো অভিযোগ এলে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। ফলাফলের গেজেটটা করে দিতে হয়। রিটার্নিং অফিসার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টা অনিয়ম হলে যেন ব্যবস্থা নেওয়া যায়-সেই ক্ষমতা চেয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশোধনী প্রস্তাবে ‘পুরো আসন’র (এন্টায়ার শব্দটা) কথাটা বাদ দিয়ে আংশিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। সেখানে যতসংখ্যক কেন্দ্রে অনিয়ম হবে তা বন্ধ করা যাবে। যদিও আমরা অনুমোদিত আরপিওর পুরো কপি এখনো দেখিনি।
পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাচ্ছে না-এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোনো প্রার্থীর জন্য কোনো ধরনের নমনীয়তার সুযোগই নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটে, পেপার-পত্রিকায় যদি এসে থাকে আমরা ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, কমিশনের কাছে কেউ তো লিখিত কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা আসলেই চাই সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হোক। কমিশনের ইচ্ছার কোনো কমতি নেই।
© JUGANTOR.COM
‘.”
“.’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীতে নতুন বিধান যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি জানান, পুরো নির্বাচন বাতিলসংক্রান্ত আরপিওর ৯১(ক) ধারা সংশোধনে ইসি কোনো প্রস্তাব না দেওয়ায় তা বহাল রয়েছে। ৯১(ক) অনুচ্ছেদের সঙ্গে (ক) উপধারা যুক্ত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণার পরও নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্র বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে ফল ঘোষণার পর বন্ধের ক্ষমতা ছিলই না, সেখানে তো কিছুটা হলেও (কেন্দ্র বন্ধ করার) ক্ষমতা বাড়ল। আমাদের লক্ষ্য পুরোটা না হলেও কিছুটা তো অর্জন হয়েছে। পুরো নির্বাচনি আসনের ফল বাতিলের ক্ষমতা পেলে ভালো। কেননা, যারা অনিয়ম করে তাদের মধ্যে তখন একটা ভয় থাকত যে ভোট বাতিল হয়ে যাবে, আবার হ্যাপাটা (ঝামেলা) নিতে হবে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৃহস্পতিবার আরপিও সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে ইসি কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে না। এরপর আরপিও সংশোধনী নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ওঠে। কেউ কেউ বলেন, আরপিওতে ইসির ক্ষমতা কমানো হয়েছে। ৯১(ক) অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে ইসিকে নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট বন্ধের ক্ষমতা দেওয়া আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা ৯১(ক) সংশোধন নিয়ে কোনো প্রস্তাবনা দেইনি। যে প্রস্তাবনা যায়নি, সেটা বাতিল হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, আমরা যখন সিসি ক্যামেরায় দেখলাম গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না, তখন আমরা ৯১(ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে ওই নির্বাচনটা বন্ধ করেছিলাম। ওই ধারায় এখনও বন্ধ করতে পারব।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন যে ৯১(ক) তে নির্বাচন চলাকালীন ভোট বন্ধ করে দেওয়ার যে ক্ষমতা ইসির ছিল সেটা বোধহয় খর্ব হয়েছে। বিষয়টা তা নয়। আমি যতটুকু বুঝি, ওইটা তো হবেই না। কেননা, আমরা তো ওইটা চাই-ই নাই। সেখানে প্রস্তাবনা হলোÑ৯১(ক) এর সঙ্গে ক(ক) বলে আরেকটা উপ-অনুচ্ছেদ যোগ দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের ফলাফল কমিশনে পাঠানোর পরও নির্বাচন নিয়ে অনেক সময় অভিযোগ আসে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, এই সময়টার মধ্যে কোনো অভিযোগ এলে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। ফলাফলের গেজেটটা করে দিতে হয়। রিটার্নিং অফিসার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টা অনিয়ম হলে যেন ব্যবস্থা নেওয়া যায়-সেই ক্ষমতা চেয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশোধনী প্রস্তাবে ‘পুরো আসন’র (এন্টায়ার শব্দটা) কথাটা বাদ দিয়ে আংশিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। সেখানে যতসংখ্যক কেন্দ্রে অনিয়ম হবে তা বন্ধ করা যাবে। যদিও আমরা অনুমোদিত আরপিওর পুরো কপি এখনো দেখিনি।
পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাচ্ছে না-এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোনো প্রার্থীর জন্য কোনো ধরনের নমনীয়তার সুযোগই নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটে, পেপার-পত্রিকায় যদি এসে থাকে আমরা ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, কমিশনের কাছে কেউ তো লিখিত কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা আসলেই চাই সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হোক। কমিশনের ইচ্ছার কোনো কমতি নেই।
সোর্সঃ jugantor.com