গাজীপুরে নৌকার পরাজয় নিয়ে যে মূল্যায়ন আ.লীগ নেতাদের
গাজীপুরে নৌকার পরাজয় নিয়ে যে মূল্যায়ন আ.লীগ নেতাদের
রাজনীতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
2023-05-28
2023-05-28
গাজীপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এখানকার পাঁচটি সংসদীয় আসনই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভায় গাজীপুরের রয়েছেন দুজন সদস্য।
সিটি নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছিল। তবুও বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর এমন পরাজয় মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই ভরাডুবি ক্ষমতাসীনদের বেশ ভাবনায় ফেলেছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করছেন।
তৃণমূলের অনৈক্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বড় ধরনের সতর্ক বার্তা দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। দলীয় মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার হারের পেছনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় টিম পরাজরের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। দলের আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লিখিত আকারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
নেতারা ধারণা করছেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা আসবে। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, এই নির্বাচনকে তারা শিক্ষা হিসাবে নিতে চান। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ভুল-ক্রটি সংশোধন এবং ঐক্য সুদৃঢ় করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে চান তারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী শনিবার যুগান্তরকে বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কেমন হয়েছে তা দেশবাসী দেখেছেন। এখানে আমাদের দলীয় প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে আমাদের মেয়র প্রার্থী কেন পরাজিত হলেন তা ‘পার্টি লেভেলে’ আলোচনা হবে। আমরা কারণগুলো জানার চেষ্টা করব।
তারপর বলতে পারব। মার্কিন ভিসানীতি এক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার তারই প্রতিফলন ঘটেছে গাজীপুরে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মতামত প্রদান করেছেন। আওয়ামী লীগ জনগণের এই রায়কে সম্মান জানায়। নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। এটি আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ চায় আগামী সংসদ নির্বাচনেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের রায় প্রদান করুক। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এই ফলাফল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে তিনি মনে করেন। মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার প্রভাব এই নির্বাচনে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমি এখানে আওয়ামী লীগ সরকার, প্রার্থী এবং ভোটারের সদিচ্ছার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে চাই।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে আমরা শিক্ষা হিসাবে নিতে চাই। সামনের সিটি করপোরেশনসহ অন্য সব নির্বাচনে আমাদের ভুল-ক্রটিগুলো শুধরে, কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো দূর করতে চাই। তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করে আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে চাই।
© JUGANTOR.COM
‘.”
“.’
গাজীপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এখানকার পাঁচটি সংসদীয় আসনই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভায় গাজীপুরের রয়েছেন দুজন সদস্য।
সিটি নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছিল। তবুও বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর এমন পরাজয় মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই ভরাডুবি ক্ষমতাসীনদের বেশ ভাবনায় ফেলেছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করছেন।
তৃণমূলের অনৈক্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বড় ধরনের সতর্ক বার্তা দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। দলীয় মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার হারের পেছনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় টিম পরাজরের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। দলের আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লিখিত আকারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
নেতারা ধারণা করছেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা আসবে। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, এই নির্বাচনকে তারা শিক্ষা হিসাবে নিতে চান। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ভুল-ক্রটি সংশোধন এবং ঐক্য সুদৃঢ় করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে চান তারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী শনিবার যুগান্তরকে বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কেমন হয়েছে তা দেশবাসী দেখেছেন। এখানে আমাদের দলীয় প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে আমাদের মেয়র প্রার্থী কেন পরাজিত হলেন তা ‘পার্টি লেভেলে’ আলোচনা হবে। আমরা কারণগুলো জানার চেষ্টা করব।
তারপর বলতে পারব। মার্কিন ভিসানীতি এক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার তারই প্রতিফলন ঘটেছে গাজীপুরে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মতামত প্রদান করেছেন। আওয়ামী লীগ জনগণের এই রায়কে সম্মান জানায়। নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। এটি আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ চায় আগামী সংসদ নির্বাচনেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের রায় প্রদান করুক। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এই ফলাফল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে তিনি মনে করেন। মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার প্রভাব এই নির্বাচনে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমি এখানে আওয়ামী লীগ সরকার, প্রার্থী এবং ভোটারের সদিচ্ছার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে চাই।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে আমরা শিক্ষা হিসাবে নিতে চাই। সামনের সিটি করপোরেশনসহ অন্য সব নির্বাচনে আমাদের ভুল-ক্রটিগুলো শুধরে, কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো দূর করতে চাই। তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করে আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে চাই।
সোর্সঃ jugantor.com