শ্বশুরের পা ধরে ক্ষমা চাইতে গিয়ে পিটুনি খেলেন জামাই, অতঃপর…
শ্বশুরের পা ধরে ক্ষমা চাইতে গিয়ে পিটুনি খেলেন জামাই, অতঃপর…
সারাদেশ
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
2023-05-22
2023-05-22
রাজশাহীর তানোরে শ্বশুরের পা ধরে ক্ষমা চাইতে গিয়ে মারধরে জামাই গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তানোর পৌর এলাকার আমশো তাঁতিয়ালপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে তানোর পৌর এলাকার জিওল মহল্লার আজাহার মেম্বারের ছেলে রবিউল ইসলাম রুবেল (৩০) ও তার ভাই মিজানুর রহমান (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় রুবেলের পিতা আজাহার মেম্বার বাদী হয়ে রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মহল্লার বাসিন্দা আজাহার মেম্বারের পুত্র রবিউল ইসলাম রুবেল প্রায় ৮ বছর আগে স্বর্ণাকে (২৪) বিয়ে করেন। স্বর্ণার পিতার বাড়ি তানোর পৌর এলাকার আমশো তাঁতিয়ালপাড়া মহল্লায়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে আছে দুই পুত্রসন্তান। ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়। ওই দিনই বিকালে স্বামী রুবেল বাইরে গেলে স্ত্রী স্বর্ণা আপন ভাই আরজুকে ডেকে দুই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসে। সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় স্ত্রী স্বর্ণা।
এর পর থেকেই স্বামী রুবেল তার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বাড়িতে আসতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী স্বর্ণা বেগম কৌশলে তার পিতার বাড়িতে রুবেলকে আসতে বলে।
পরে স্বামী রুবেল বিষয়টি তার শ্বশুর আজাদকে অবহিত করেও স্ত্রী স্বর্ণা বেগমকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।
বুধবার রুবেল আবারও তার শ্বশুর আজাদ কবিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন শ্বশুর আজাদ জামাই রুবেলকে তার ভাইসহ নিকট আত্মীয়দের নিয়ে বাড়িতে আসতে বলেন।
পরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাই এমদাদুল, মিজানুর ও চাচাতো ভাই হাবিবুরকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যায় রুবেল।
এ সময় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ঘরোয়াভাবে সালিশবৈঠক বসে। এ সময় সালিশে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জামাই রুবেল শ্বশুর আজাদ কবিরাজের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে পা ধরতে যায়। এ সময় শ্বশুর আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে জামাই রুবেলকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পাশে থাকা শ্বশুরবাড়ির লোকজনও রুবেল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়কে মারতে থাকে।
ফলে জামাই রুবেলের দুই হাতের কবজিতে রক্তাক্ত জখম হয়। রুবেলকে রক্ষা করতে গিয়ে তার সঙ্গে যাওয়া লোকজনও আহত হন।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা জামাই রুবেল ও মিজানুর বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাদের মারধর করেছে।
এ বিষয়ে শ্বশুর আজাদ কবিরাজের নিকট জানতে চাইলে বলেন, কী কারণে মারধর করা হয়েছে আমার জামাইকে জিজ্ঞেস করেন। তবে জামাইয়ের মার খাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেনি বলেও আক্ষেপ করেন শ্বশুর আজাদ।
© JUGANTOR.COM
‘.”
“.’
রাজশাহীর তানোরে শ্বশুরের পা ধরে ক্ষমা চাইতে গিয়ে মারধরে জামাই গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তানোর পৌর এলাকার আমশো তাঁতিয়ালপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে তানোর পৌর এলাকার জিওল মহল্লার আজাহার মেম্বারের ছেলে রবিউল ইসলাম রুবেল (৩০) ও তার ভাই মিজানুর রহমান (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় রুবেলের পিতা আজাহার মেম্বার বাদী হয়ে রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মহল্লার বাসিন্দা আজাহার মেম্বারের পুত্র রবিউল ইসলাম রুবেল প্রায় ৮ বছর আগে স্বর্ণাকে (২৪) বিয়ে করেন। স্বর্ণার পিতার বাড়ি তানোর পৌর এলাকার আমশো তাঁতিয়ালপাড়া মহল্লায়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে আছে দুই পুত্রসন্তান। ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়। ওই দিনই বিকালে স্বামী রুবেল বাইরে গেলে স্ত্রী স্বর্ণা আপন ভাই আরজুকে ডেকে দুই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসে। সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় স্ত্রী স্বর্ণা।
এর পর থেকেই স্বামী রুবেল তার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বাড়িতে আসতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী স্বর্ণা বেগম কৌশলে তার পিতার বাড়িতে রুবেলকে আসতে বলে।
পরে স্বামী রুবেল বিষয়টি তার শ্বশুর আজাদকে অবহিত করেও স্ত্রী স্বর্ণা বেগমকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।
বুধবার রুবেল আবারও তার শ্বশুর আজাদ কবিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন শ্বশুর আজাদ জামাই রুবেলকে তার ভাইসহ নিকট আত্মীয়দের নিয়ে বাড়িতে আসতে বলেন।
পরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাই এমদাদুল, মিজানুর ও চাচাতো ভাই হাবিবুরকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যায় রুবেল।
এ সময় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ঘরোয়াভাবে সালিশবৈঠক বসে। এ সময় সালিশে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জামাই রুবেল শ্বশুর আজাদ কবিরাজের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে পা ধরতে যায়। এ সময় শ্বশুর আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে জামাই রুবেলকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পাশে থাকা শ্বশুরবাড়ির লোকজনও রুবেল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়কে মারতে থাকে।
ফলে জামাই রুবেলের দুই হাতের কবজিতে রক্তাক্ত জখম হয়। রুবেলকে রক্ষা করতে গিয়ে তার সঙ্গে যাওয়া লোকজনও আহত হন।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা জামাই রুবেল ও মিজানুর বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাদের মারধর করেছে।
এ বিষয়ে শ্বশুর আজাদ কবিরাজের নিকট জানতে চাইলে বলেন, কী কারণে মারধর করা হয়েছে আমার জামাইকে জিজ্ঞেস করেন। তবে জামাইয়ের মার খাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেনি বলেও আক্ষেপ করেন শ্বশুর আজাদ।
সোর্সঃ jugantor.com