সাগরে চার দিন ভেসেছিলেন ১৪ জেলে
সাগরে চার দিন ভেসেছিলেন ১৪ জেলে
সারাদেশ
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
2023-05-21
2023-05-21
ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে চার দিন ধরে ভাসমান ১৪ জেলেসহ ট্রলারটি উদ্ধার করেছে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড পাথরঘাটা। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটায় ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে ১৫ মে পাথরঘাটা ঘাট থেকে মাছ শিকারের জন্য ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় বরগুনার পাথরঘাটার ছগির হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মারিয়া নামের ওই ট্রলারটি।
ট্রলারের মালিক ও মাঝি ছগির হোসেনের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ১৫ মে দুপুরে পাঁচ দিনের জ্বালানি ও রসদ নিয়ে ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে রওনা দিয়ে যায় এফবি মারিয়া নামের ট্রলারটি; যা ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধের আগেই ঘাটে আসার কথা ছিল; কিন্তু ১৮ মে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয় যায়। সেই থেকেই সাগরে ভাসছিল ট্রলারটি। এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১১ মে ঘাটে আসে ট্রলারটি।
তিনি আরও জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে মালিক সমিতিকে বিষয়টি অবগত করেন ট্রলার মালিক ও মাঝি সগির হোসেন। এরপর কোস্টগার্ডকে জানিয়ে ট্রলারটি উদ্ধারে ট্রলার মালিক সমিতির আরেকটি ট্রলার ভাসমান জেলেদের উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ডসহ পাঠানো হয়।
ফিরে আসা জেলেরা জানান, আমাদের কপাল ভালো যে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণা বাতাস ছিল। সে কারণে পাল তুলে আমরা উপকূলের দিকে আসতে পেরেছি। যদি বাতাস বিপরীত দিকে থাকত তাহলে ভাসতে ভাসতে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করতে হতো।
ট্রলারের মালিক ও মাঝি সগির হোসেন জানান, ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ চালায় আমরা সাগরে কোনো দেশীয় ট্রলার পাইনি যারা আমাদের উদ্ধার করে ঘাটে পৌঁছে দিবে। বাতাস আমাদের অনুকূলে থাকায় আমরা সুস্থভাবে ফিরতে পেরেছি।
পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে এফবি মাহফুজা নামের ট্রলারের ১৪ জেলেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। জেলেরা সবাই সুস্থ আছেন।
© JUGANTOR.COM
‘.”
“.’
ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে চার দিন ধরে ভাসমান ১৪ জেলেসহ ট্রলারটি উদ্ধার করেছে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড পাথরঘাটা। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটায় ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে ১৫ মে পাথরঘাটা ঘাট থেকে মাছ শিকারের জন্য ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় বরগুনার পাথরঘাটার ছগির হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মারিয়া নামের ওই ট্রলারটি।
ট্রলারের মালিক ও মাঝি ছগির হোসেনের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ১৫ মে দুপুরে পাঁচ দিনের জ্বালানি ও রসদ নিয়ে ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে রওনা দিয়ে যায় এফবি মারিয়া নামের ট্রলারটি; যা ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধের আগেই ঘাটে আসার কথা ছিল; কিন্তু ১৮ মে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয় যায়। সেই থেকেই সাগরে ভাসছিল ট্রলারটি। এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১১ মে ঘাটে আসে ট্রলারটি।
তিনি আরও জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে মালিক সমিতিকে বিষয়টি অবগত করেন ট্রলার মালিক ও মাঝি সগির হোসেন। এরপর কোস্টগার্ডকে জানিয়ে ট্রলারটি উদ্ধারে ট্রলার মালিক সমিতির আরেকটি ট্রলার ভাসমান জেলেদের উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ডসহ পাঠানো হয়।
ফিরে আসা জেলেরা জানান, আমাদের কপাল ভালো যে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণা বাতাস ছিল। সে কারণে পাল তুলে আমরা উপকূলের দিকে আসতে পেরেছি। যদি বাতাস বিপরীত দিকে থাকত তাহলে ভাসতে ভাসতে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করতে হতো।
ট্রলারের মালিক ও মাঝি সগির হোসেন জানান, ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ চালায় আমরা সাগরে কোনো দেশীয় ট্রলার পাইনি যারা আমাদের উদ্ধার করে ঘাটে পৌঁছে দিবে। বাতাস আমাদের অনুকূলে থাকায় আমরা সুস্থভাবে ফিরতে পেরেছি।
পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে এফবি মাহফুজা নামের ট্রলারের ১৪ জেলেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। জেলেরা সবাই সুস্থ আছেন।
সোর্সঃ jugantor.com