হাসপাতাল থেকে যমজ বাচ্চা গায়েব, দুই চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হাসপাতাল থেকে যমজ বাচ্চা গায়েব, দুই চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হাসপাতাল থেকে যমজ বাচ্চা গায়েব, দুই চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সারাদেশ

রাজশাহী ব্যুরো

2023-05-21
2023-05-21

হাসপাতাল থেকে যমজ শিশু পাচারের অভিযোগে রাজশাহীতে দুই চিকিৎসক, দুই নার্সসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে সৈয়দা তামান্না আক্তার নামের এক প্রসূতি বাদী হয়ে আরএমপির রাজপাড়া থানায় এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিশাত আনাম বর্না, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ আলী রিমন, রাজশাহীর রয়েল হাসপাতালে দায়িত্বরত দুই অজ্ঞাতনামা নার্স ও রয়েল হাসপাতালের মালিক।
আরএমপির রাজপাড়া থানার ওসি ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূ সৈয়দা তামান্না আক্তারের লিখিত এজাহার পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা রেকর্ডের পর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। পুলিশ রয়েল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে চুরি হওয়া যমজ নবজাতক উদ্ধারেরও চেষ্টা করছে। আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
মামলার বাদী প্রসূতি সৈয়দা তামান্ন আক্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সেলিমাবাদ গ্রামের সুইডেন প্রবাসী পিয়াস বিশ্বাসের স্ত্রী। ১৮ মে তীব্র প্রসব বেদনা নিয়ে রাজশাহী রয়েল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন বিকালে অপারেশন থিয়েটার থেকে তার যমজ শিশু গায়েব হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে তিনি শিশু চুরির জন্য অপারেশনাল গাইনি ডাক্তার নিশাত আনাম বর্না ও তার সহযোগীদের দায়ী করে আসছিলেন। রোববার তিনি থানায় মামলা করেন। 
ওটি থেকে বাচ্চা গায়েবের অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. নিশাত আনাম বর্না বলেন, ‘ওটিতে রোগীকে পরীক্ষা করে আমার কাছে মনে হয়, তার পেটে বাচ্চা নেই। পরে রোগীর স্বজনদের একটা আলট্রাসনোগ্রাম করিয়ে আনতে বলি এবং দেখি সত্যিই বাচ্চা নেই। মেন্টাল প্রেগন্যান্সি বলে একটা কথা আছে। যদি রোগীর পেট ফুলে যায়, সাইকোলজিক্যালি সে প্রেগন্যান্ট মনে করেন। আসলে এই রোগীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনাই ঘটেছে।

© JUGANTOR.COM

‘.”

“.’

হাসপাতাল থেকে যমজ শিশু পাচারের অভিযোগে রাজশাহীতে দুই চিকিৎসক, দুই নার্সসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে সৈয়দা তামান্না আক্তার নামের এক প্রসূতি বাদী হয়ে আরএমপির রাজপাড়া থানায় এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিশাত আনাম বর্না, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ আলী রিমন, রাজশাহীর রয়েল হাসপাতালে দায়িত্বরত দুই অজ্ঞাতনামা নার্স ও রয়েল হাসপাতালের মালিক।

আরএমপির রাজপাড়া থানার ওসি ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূ সৈয়দা তামান্না আক্তারের লিখিত এজাহার পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা রেকর্ডের পর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। পুলিশ রয়েল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে চুরি হওয়া যমজ নবজাতক উদ্ধারেরও চেষ্টা করছে। আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

মামলার বাদী প্রসূতি সৈয়দা তামান্ন আক্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সেলিমাবাদ গ্রামের সুইডেন প্রবাসী পিয়াস বিশ্বাসের স্ত্রী। ১৮ মে তীব্র প্রসব বেদনা নিয়ে রাজশাহী রয়েল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন বিকালে অপারেশন থিয়েটার থেকে তার যমজ শিশু গায়েব হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে তিনি শিশু চুরির জন্য অপারেশনাল গাইনি ডাক্তার নিশাত আনাম বর্না ও তার সহযোগীদের দায়ী করে আসছিলেন। রোববার তিনি থানায় মামলা করেন। 

ওটি থেকে বাচ্চা গায়েবের অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. নিশাত আনাম বর্না বলেন, ‘ওটিতে রোগীকে পরীক্ষা করে আমার কাছে মনে হয়, তার পেটে বাচ্চা নেই। পরে রোগীর স্বজনদের একটা আলট্রাসনোগ্রাম করিয়ে আনতে বলি এবং দেখি সত্যিই বাচ্চা নেই। মেন্টাল প্রেগন্যান্সি বলে একটা কথা আছে। যদি রোগীর পেট ফুলে যায়, সাইকোলজিক্যালি সে প্রেগন্যান্ট মনে করেন। আসলে এই রোগীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনাই ঘটেছে।
সোর্সঃ jugantor.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *