জাবি প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক কর্মচারীর ভাইকে মারধর করা হয়েছে৷ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাঙামাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচায় চেয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী মো. সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের কর্মচারী মো. লিটন চৌধুরীর ভাই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাঙামাটি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন- মো. মিরাজ, মো. মিলন ও অনন্ত। তাদের মধ্যে, মিরাজ ও মিলন আশুলিয়া থানার রাঙামাটি এলাকার এবং অনন্ত গোকুলনগর এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া মিরাজ মাঝেমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের অধীনে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমনকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন অভিযুক্তরা। তখন সুমন তার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা লাঠি-সোঁটা ও লোহার রড নিয়ে তাকে মারধর করে। এ সময় রড দিয়ে সুমনের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মিরাজ। তবে তার রডের আঘাতে সুমনের চোখের পাশে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা সুমনকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সুমন বলেন, ‘অভিযুক্তরা সবাই খারাপ লোক। তারা আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার পরিবারের সাথে শত্রুতা করছে। ঘটনার দিন তারা তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে আমার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
তবে সুমনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে মো. মিরাজ বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় সুমন আমার মা’কে গালাগালি করে। তখন আমি গালাগালি করার কারণ জানতে চাইলে সে আমার জামার কলার ধরে মারতে উদ্যত হয়। পরে আমি তাকে মারধর করেছি।’
পাথালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং আশুলিয়া থানার এসআই নুর আলম ভাইসহ আমরা একসাথে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। তবে অভিযোগকারী সুমন এবং তার ভাই লিটন কেউ আসেনি।’
সার্বিক বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর আলম মিয়া বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে জানতে দু’পক্ষকে থানায় ডেকেছিলাম। তবে অভিযোগকারী মো. সুমন আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ডাকা হলেও অভিযোগকারী আসেনি।’