জাবিতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

জাবিতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

পরিবেশ ধ্বংস করে যত্রতত্র গাছ কেটে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে এবং দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২১শে নভেম্বর) বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে আইআইটির ভবন নির্মাণের স্থানে গিয়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়।

মানববন্ধনে মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তারা অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি জানান।

এ সময় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েকে মরুভূমি বানাতে চায় এই প্রশাসন। ভোগবাদীরা কেবল অর্থ ও টাকা পয়সা ভোগ করে ক্ষান্ত হয় না তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ধংস করে দিতে চায়। এ নিয়ে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নাই, প্রশাসনের মাথা ব্যাথা শুধু পকেট ভারী করার দিকে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সদস্য শারমিন আক্তার বলেন, মানুষ খেকো কিছু দানব আছে যারা মানুষ খয় না বটে, কিন্তু মানুষের বসবাসের উপযোগী প্রাণ প্রকৃতি তারা ধংস করে থাকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রান প্রকৃতি ধংস করা হচ্ছে তার জন্য প্রশাসন দায়ী। বিভিন্ন সময় প্রশাসন বন ধংস করে আর নানা অজুহাত দাঁড় করায়। এভাবে যদি চলতে থাকে আমরা সবাই কে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য দাবি করে আসছি। আমরা চাই মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে ভবন হবে, উন্নয়ন হবে, ক্লাসরুম সংকট নিরসন হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে বলেছিল তদন্ত কমিটি গঠন করে আইবিএ ও আইআইটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কিন্তু নামে মাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোন সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই আইআইটি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মানববন্ধনের মাধ্যেমে জানিয়ে দিতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে কোন উন্নয়ন আমরা চাই না।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, আইবিএ ও আইআইটি যে গাছগুলো কেটেছিল তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। আজকে আইবিএ’র কাজ বন্ধ থাকলেও আইআইটি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইবিএ’র সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে আর আইআইটিকে মাথায় তুলে নাচার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আমাদের মনে হয় এখানে একধরনের অর্থনৈতিক লেনদেন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *