নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
ভালোকাজে লোকের আগ্রহ কম থাকে। বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রেও মানুষের আগ্রহ কম দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে নোবিপ্রবি সায়েন্স ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, প্রকৃত বিজ্ঞানচর্চাই একজন মানুষকে আলোকিত করতে পারে। প্রবল ইচ্ছেশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানের জ্ঞানকে ব্যবহার করে আলোকিত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এর জন্যে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি সায়েন্স ক্লাবকে প্রজেক্ট নিয়ে বিশেষ প্রোগ্রাম করার পরামর্শ দেন।
তিনি আরো বলেন, সায়েন্স ক্লাব এমন একটা সংগঠন যারা ছাত্রদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার জন্য কাজ করে। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ক কর্মশালাগুলো দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন জার্নালে পেপার পাবলিশ করতে সাহায্য করছে। যা চাকরী ক্ষেত্রে অনেক কাজে আসবে বলে আমি মনে করি। পরিশেষে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অ
হানিয়া বিনতে আসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল বাকী, ছাত্র ও পরামর্শ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এবং সায়েন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এসকে ফয়সাল আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং নবীন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে প্রকৃত বিজ্ঞান চর্চায় পারে সমাজকে আলোকিত করতে। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিজ্ঞান চর্চার আহ্বান জানিয়ে সুন্দর সমাজ গঠনের পরামর্শ প্রদান করেন।
অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক বলেন, সবাই সব কাজ করবে না। মেধাবৃত্তিক কাজ সবাই করবে না। সাইন্স ক্লাবের সদস্যরাই তা করছে। আমি তোমাদের সকলকে এটার জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরী করার জন্য এবং আমরা যেন আমাদের এ কাজের মধ্য দিয়েই স্মার্ট মানুষ হতে পারি।
সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, স্বপ্ন না থাকলে তার বাচার দরকার নেই। স্বপ্নকে বুকে লালন করে একজন মানুষ অসাধ্যকে সাধন করে। আমাদের স্বপ্ন ছিলো আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড ল্যাব তৈরি করা। যার মাধ্যমে আমরা ফেনী, লক্ষীপুরসহ কয়েকটি জেলার স্যাম্পল পরীক্ষা করেছি। বাংলাদেশে ৫ টি জায়গায় কোভিড টেস্ট হয়েছিলো করোনাকালীন সময়ে যেখানে ৫ নাম্বার বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আমাদের নোবিপ্রবি। পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তোমরা জেনে খুশি হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি শুরু হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা বিজ্ঞান ও গবেষণার দিক দিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।