জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অপরাধে ২ যুবককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (১৯ জুন) রাত ১০ টায় নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহীদুল ইসলাম সোহাগ এ দন্ড প্রদান করেছেন বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।
অপরাধীদের একজন সোহেল রানা (২৮)। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। পিতার নাম সোহাগ আলি এবং মাতা আমেনা বেগম।
আরেক অপরাধী মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল (২৩)। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ধুবাউড়া উপজেলায়। তার পিতার নাম নূরুল ইসলাম এবং মাতা বিলকিস বেগম।
ভর্তি জালিয়াতির সাথে সংশ্লিষ্ট দুই অপরাধীর শাস্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইন ১৯৮০ এর ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী ও ভ্রাম্যমান আদালত আইন-২০০৯ অনুযায়ী অপরাধীদেরকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে ৩ দিনের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এর আগে, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ৩য় শিফট চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে সোহেল রানা এবং ৪র্থ শিফটের পরীক্ষায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ২৪ নং কক্ষ থেকে মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল নামের দুই যুবককে আটক করা হয়।
জানা যায়, সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। নাজমুল নামে এক পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি এ পরীক্ষা দিতে আসেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল (২৩) মুঈন তাজদীদ মাহি নামের এক শিক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় বসেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। শাকিল বলেন, জামালপুরের হাসানুজ্জামানের সঙ্গে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়। মোট ৪ টি ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে যেকোন একটিতে সুযোগ পেলেই টাকা দেওয়া হতো। গতকাল ‘সি’ ও ‘সি-১’ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি।