আইসিওএম’র জাতীয় কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর

মোসাদ্দেকুর রহমান, জাবি প্রতিনিধি।

আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ-এর বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগের কমিটিতেও তিনি চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছিলেন।

৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী বোর্ড (২০২৩-২০২৬) এর নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা এবছরের ১৬ জুন এবং ১৪ জুলাই ঢাকায় সংগঠনটির সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে দুই স্তরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন শেষে বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হোন জাবির এই অধ্যাপক।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক পেশাজীবীদের সংগঠন সেক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করবো যথাযথ উন্নতি সাধন করার। জাদুঘরের কাজ যেহেতু ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরা তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় জাদুঘরের অবকাঠামো ঠিক রেখে কিভাবে এর আধিক্য নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে কাজ করে যাব।

তিনি আরও বলেন, এই সংগঠন বিভিন্ন কনফারেন্স, কর্মশালার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কিভাবে কর্মদক্ষতা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছে। আমি চেষ্টা করবো বাংলাদেশে জাদুঘরের মান ও সংখ্যা বৃদ্ধি করার। ইতিমধ্যে ওয়ারিবটেশ্বরে দেড় বিঘা জমির উপর উন্মুক্ত জাদুঘর তৈরি করেছে যেটার গবেষণা পরিচালক হিসেবে আমি আছি। এর পাশাপাশি বিক্রমপুরে দুইটি জাদুঘরের নির্মাণ চলমান এবং ওয়ারি বটেশ্বর এলাকায় ৩ টি জাদুঘর নির্মিত হয়েছে ও ২টির কাজ চলমান রয়েছে।

অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিপার জনাব আসমা ফেরদৌসি (ভাইস-চেয়ারপারসন) এবং হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন (অনারারি চেয়ারপারসন), আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের উপ-কিপার জনাব মো: সেরাজুল ইসলাম (সেক্রেটারি) এবং টাকা জাদুঘরের কিউরেটর ড. আছিয়া খানম লিখন (ট্রেজারার) নির্বাচিত হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইন ও অধ্যাপক ড. মো. মোকাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহকারী কিউরেটার জনাব মোমিনুর রশীদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, জাদুঘর বিষয়ে সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির ১২৫টি জাতীয় কমিটি, ৩২টি আন্তর্জাতিক কমিটি, ৮টি আঞ্চলিক কমিটি ও ২২টি এফিলিয়েটেড সংস্থা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জাদুঘর ও জাদুঘর পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ ও মানোন্নয়ন, জাদুঘর বিষয়ে গবেষণা, জাদুঘর সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনস/নীতিমালা প্রস্তুত ও প্রচার, জাদুঘর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরিতে এই বৈশ্বিক সংগঠন অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *