সাবেক উপাচার্যকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও বানোয়াট বললেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.দিদার-উল-আলমকে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।

নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.বিপ্লব মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.এস এম মাহাবুবুর রহমানের স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে জাতীয় দৈনিকের ঐ খবরটিকে প্রত্যাখান করে ও মিথ্যা দাবি করে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

জানা যায়, গত ২৪ জুন “বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতির বাসা” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন করে দৈনিক সমকাল। প্রতিবাদলিপিতে শিক্ষক সমিতি জানায়, প্রতিবেদনটি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টি গোচর হওয়ার পর তারা প্রতিবেদনটি প্রত্যাখান করেছে।সেই সাথে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গালগল্পের মতো মনগড়া প্রতিবেদন দাবি করে এ খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে তারা।

তারা জানায়, প্রতিবেদনটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উপাচার্য মহোদয় অ্যাকাডেমিক সেমিনার করতে দেননি এ সংক্রান্ত তথ্যটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। তাদের দাবি,একাডেমিক সেমিনারের বিষয়ে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে সেখানে আয়োজক কর্তৃক উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপাচার্য বিতর্কিত করার লক্ষ্যে একইদিনে একাধিক অনুষ্ঠানসূচি থাকা সত্ত্বেও তাঁর পূর্বানুমতি না নিয়ে অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল। একইদিনে জাতির পিতাকে নিয়ে পৃথক অনুষ্ঠান থাকায় উপাচার্য উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজক তৎকালীন আইকিউএসি পরিচালককে পরিবর্তিত সময়, দিন ও তারিখ নির্ধারণ করতে বললেও তিনি তা করেননি।

নেতৃবৃন্দ জানান, সদ্য বিদায়ী উপাচার্য এর সময়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রায় ১৫০টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

এছাড়াও জাতীয় দিবসগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ, ইনস্টিটিউট, এবং হলসমূহে উপাচার্য মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী শিশুদের মাঝে আত্মস্থ করার প্রয়াসে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিশুদের নিয়ে জাতির পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশুদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বিগত ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতিতে ভার্চুয়ালি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তাই প্রকাশিত খবরে “বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন অ্যাকাডেমিক আলোচনা ও সেমিনারের নজির গত ৪ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই” অংশটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি নেতৃবৃন্দের।

শিক্ষক নেতারা জানান, সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের আমলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ভবনে উদ্বোধন করা হয় “বঙ্গবন্ধু কর্নার”। এমনকি করোনার প্রাদুর্ভাবকালেও নোবিপ্রবিতে “বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম” শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি বছরের ২৪ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে বৃহত্তর নোয়াখালীর ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে নোবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের জীবিত ২১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়, যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।

তাদের দাবি, প্রতিবেদনে গেস্ট হাউজ ও উপাচার্য বাংলো নিয়ে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার সবই ভিত্তিহীন। সদ্যবিদায়ী মাননীয় উপাচার্য নোবিপ্রবিতে নিয়োগের পর থেকে এক টাকাও বাড়িভাড়া ভাতা বাবদ গ্রহণ করেননি, ডেপুটেশন পরবর্তী ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত নিয়মে অবিনিমেয় চেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ৬০ হাজার টাকা ভাড়া পরিশোধ করা হয়। ২০২০ সালের জুন মাসে অবসর গ্রহণের পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করার ফলে নোবিপ্রবির অর্থ সাশ্রয়ের জন্য পূর্বের বাজেটের মধ্যে বাড়িভাড়া করা হয় এবং ২০২০-২১ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ির মালিক বরাবর অবিনিমেয় চেকে পরিশোধ করা হয়। পরবর্তীতে ভাড়া নেওয়া বাসাটিও তিনি ছেড়ে দেন। একই বেতনে দুই জায়গায় বাড়িভাড়া পরিশোধ সম্ভব।

তারা জানান, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা ল্যাব চালু হওয়ার পর ল্যাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অতিথি ভবনে বাস করেন | ফলে ভাইস চ্যান্সেলর তার বয়স ও শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলোর একটি রুমে অবস্থান করেছিলেন এবং দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ২০২১ সালে মার্চ মাসে কোভিড পজিটিভ হয়ে দুই মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ইউজিসির পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হলে তার আলোকে সদ্য সাবেক উপাচার্য বাংলোতে অবস্থান না করেও এর ভাতা পরিশোধ করেন।প্রাক্তন উপাচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে যে বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সদ্যবিদায়ী মাননীয় উপাচার্য নোবিপ্রবিতে নিয়োগের পর থেকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করতেন। তিনি নিয়মিত অফিস করতেন। তিনি দাপ্তরিক কাজ সুচারুরুপে সম্পন্ন করার স্বার্থে অতিরিক্ত সময় অফিস করতেন, যা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এছাড়াও কোভিডকালীন সময়ে তিনি সশরীরে অফিস করেছেন। মাননীয় উপাচার্য দাপ্তরিক জরুরি কাজে, বিভিন্ন সভায় যোগদানে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিবালয় ইত্যাদি স্থানে গমন করেন। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এছাড়া বাকী দিনগুলোতে তিনি ক্যাম্পাসেই অবস্থান করেন এবং নিয়মিত অফিস করেন।

শিক্ষক সমিতির দাবি, প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রাক্তন উপাচার্যের মেয়াদের শেষ দিকে নিয়োগের যে হিড়িকের কথা বলা হয়েছে তা অসত্য ও অতিরঞ্জিত। তারা বলেন, জনবল কাঠামো নিয়ে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে এর কোনো ভিত্তি নেই। কারন সদ্য সাবেক উপাচার্য ইউজিসি-র জনবল কাঠামোর বাইরে কোনো নিয়োগ দেননি।

বিগত ২৪ জুন ২০২৩ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে ৪১৫ জন শিক্ষকের নিয়োগের কথা বলা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ বছরের সময়কালে মোট শিক্ষক ৪২৬ জন। সদ্য সাবেক উপাচার্য সব মিলিয়ে ১০২ জন নতুন শিক্ষক এবং ১৫০ জনের মত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেন। তাঁর সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডে ২১ জন শিক্ষক এবং ২ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলেও কোন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

শিক্ষক সমিতি জানায়, উপাচার্য যোগদানের পূর্বের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক সংকট এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে, কোনো কোনো বিভাগে মাত্র ১-২ জন শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় বিভাগগুলোর অনুরোধ ও শিক্ষক সংকট দূরীকরণে সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষকদের যে অসন্তোষ ছিল, সাম্প্রতিক নতুন নিয়োগের ফলে তা বহুলাংশে লাঘব হয়েছে ও একাডেমিক কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগে প্ল্যানিং কমিটি করা হয়নি একথাও সত্য নয়। কারন প্রত্যেক বিভাগে প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নোবিপ্রবির সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের আলোকে সেহেতু বিএনপি-জামায়াতের কাউকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। এ পর্যন্ত একটি পদের নিয়োগ নিয়েও এ ধরনের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। আইন কর্মকর্তাসহ সবগুলো কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়োগই ইউজিসি অনুমোদিত পদে আইনসম্মত উপায়ে সম্পাদিত হয়েছে।

শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানান, উপাচার্য মহোদয় ২০১৯ সালের জুনে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মহামারি কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে সমস্ত কিছু যখন স্থবির এবং সরকার কর্তৃক উন্নয়ন কাজের কিছু বিধি-নিষেধ ছিলো তখনও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখেন। যেমন- শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা, শেখ হাসিনা সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

তাঁর মেয়াদকালে মসজিদ ও ত্রিধর্মীয় উপাসনালয়ের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন, বিএনসিসি ভবন, নিরবছিন্ন বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা, ছাত্রীদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল চালু, শিক্ষক-কর্মকর্তা টাওয়ার, কর্মচারি টাওয়ার, প্রভোস্ট কোয়ার্টার, শিক্ষকদের ব্যবহারের জন্য গাড়ি ক্রয়, ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করেন এবং খেলার মাঠের উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রাখেন।

এছাড়া, ক্যাসিনো কান্ডে ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ায় ১০তলা একাডেমিক ভবনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুরাতন প্রকল্পটি বাতিল করে নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি প্লানিং কমিটিতে পাশ হয়ে একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ক্লাসরুম সংকট দূর করতে উক্ত ভবনের ২য় তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে শ্রেণি কার্যক্রমের উপযোগী করা শুরু করেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি বিভাগ সেখানে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তদুপরি, শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় এবং প্রভোস্ট কোয়ার্টার অব্যবহৃত থাকায় সাময়িকভাবে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উক্ত ভবন ব্যবহার করা হচ্ছে। শিক্ষক সমিতির জানা মতে উক্ত ভবনে কোনো শিক্ষক ফ্ল্যাট বরাদ্দের আবেদন এখনও পর্যন্ত করেননি। এমনকি ১০ তলা বিশিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা টাওয়ারের অনেক ফ্ল্যাট এখনও খালি পড়ে আছে। কাজেই এ সম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণরূপে অতিরঞ্জিত।

শিক্ষক সমিতির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ সবচেয়ে গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিধায় এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদটি খালি থাকায় ইতোপূর্বের সব উপাচার্যগণ নিজেরাই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সদ্য সাবেক উপাচার্য এ পদে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেও সময় না থাকায় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেননি।

এছাড়া, টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করা নেতাকর্মীদের নিয়োগ প্রদানের যে অভিযোগ করা হয়েছে এর কোনো প্রমাণ নেই বরং যারা সরাসরি উপাচার্যের বিরোধিতা করেছেন তাদের পদোন্নতিতেও তিনি কখনো বাঁধা দেননি। বরং দল-মত নির্বিশেষে সকলের পদোন্নতিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদনে শিক্ষা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. জসীম উদ্দিনকে নিয়ে অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে যে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে সেটিকেও বানোয়াট বলছেন শিক্ষক সমিতি। একইভাবে প্রাক্তন মাননীয় উপাচার্যের ব্যক্তিগত গাড়িচালক বিষয়ে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কোনো ধরনের রেফারেন্স ও প্রমাণ উল্লেখ করা হয়নি। এটা একেবারেই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এরপরেও অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। যদিও ব্যক্তি বিশেষের দায় সদ্য সাবেক উপাচার্যের উপর কোনো ভাবেই বর্তায় না বলে তারা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *