পাহাড়ে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

পাহাড়ে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

মো. মনসুর, জাবি প্রতিনিধি।

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতা-কর্মী হত্যার বিচার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের (একাংশ) সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিয়া মুনের সঞ্চালনায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি, সহ-সভাপতি আশফার রহমান নবীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, দুর্বৃত্তরা গুলি করে পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির বর্তমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিনসা ত্রিপুরাকে হত্যা করেছে। এই সুপরিকল্পিত, নির্মম হত্যাকাণ্ড ও অপহরণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তারা দীর্ঘদিন দিন যাবত পাহাড়ে সেনা শাসন প্রত্যাহার এবং পাহাড়ি আদিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা এবং অধিকার এর দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।

এসময় বক্তারা পাহাড়ে হত্যাকান্ডের বিচারের পাশাপাশি নিখোঁজ তিনজনকে দ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বিবৃতি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ (একাংশ)। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সীমান্ত বর্ধন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বরাত দিয়ে বলা হয়, দীর্ঘদীন ধরে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুন্ঠিত করে সেনা-শাসনের মাধ্যমে তাদের ভূমি দখল ও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। ১৯৯৭ সালে হওয়া পার্বত্য শান্তি চুক্তি সরকার এখনো সংস্কার ও বাস্তবায়ন করেনি। এইসব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে পাহাড় কিংবা সমতলের জনসাধারণের জীবন বিপর্যন্ত ও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে। পাহাড়ে সেনা-শাসন ও তাদের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে আদিবাসীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন।

বুধবার ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের (একাংশ) দপ্তর সম্পাদক সীমান্ত বর্ধন স্বাক্ষরিত অন্য এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মশাল মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে ‘ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণ সরকারের ক্ষমতার অসুস্থ বহিঃপ্রকাশ’ উল্লেখ করে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলা হয়, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে একটি পেটোয়া বাহিনীতে পারিণত হয়েছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও পক্ষপাতদুষ্টতা এবং বিচারহীনতার কারনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের মহাশক্তিধর মনে করছে। এগুলো ক্ষমতার অসুস্থ বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *