নিজ বিভাগের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূত ভাবে পদে থাকার অভিযোগ এনে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সংগঠনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য তানজিম আহমেদ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও শাস্তি দিতে বিলম্ব করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরং শিক্ষক জনি অদৃশ্য ক্ষমতাবলে এখনো নিজ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছেন, যা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করছে।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ে গঠিত কমিটি নানা টালবাহানার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠিত হলে অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেয়ার নিয়ম থাকলেও শিক্ষক জনির ক্ষেত্রে দুইমাসের অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তার প্রয়োগ দেখা যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশেষ ভয়ে বর্তমান উপাচার্য অভিযুক্ত শিক্ষককে শাস্তি প্রদানে গড়িমসি করে যাচ্ছেন। অথচ একজন নিপীড়ক শিক্ষকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি যেভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে তাতে অবিলম্বেই সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে সেই কালিমা ঘুচানো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
প্রশাসনের এমন অরাজকতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাবি সংসদ অবিলম্বে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কর্মে বহাল থাকা অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছে এবং প্রশাসনের নিপীড়ক তোষণনীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি ঘোষণা করছে।