গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

জাবিতে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক জনির শাস্তি দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে প্রায় অর্ধশত গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাবি সংসদ।

বৃহস্পতিবার সংগঠনের জাবি সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিব জামান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুসফুস খ্যাত ‘সুন্দরবন’ ধ্বংস করে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের অপচেষ্টা বন্ধের দাবি জানায়।

বিবৃতিতে আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিব জামানের বরাত দিয়ে বলা হয়, মাস্টারপ্ল্যানের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই প্রশাসনের মদদে ইচ্ছেমতো বন ধ্বংস করে ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা করছে একটি গোষ্ঠী। অথচ ঐ রাতে গাছ কাঁটার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেও ওয়াকিবহাল ছিলো না বলে দাবি করছে। এমত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের পরিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে প্রশাসন এবং অর্ধশতাধিক গাছ কাঁটার মধ্য দিয়ে ভূমিদস্যুর পরিচয়ও দিয়েছে তাঁরা।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, গাছ কাঁটার ব্যাপারে সরকারের নানান নির্দেশনা আছে; আছে পরিবেশ আইন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী গাছ কাটার পর সেগুলা প্রথমে স্টেট অফিসে সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও রাতের আঁধারেই তা ট্রাকে করে বাইরে নেয়া হয়েছে। নিলামের যে প্রচলন আছে সেটাও ভঙ্গ করা হয়েছে।

আমরা জানিনা সেই গাছ কোথায় গেছে বা কেউ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তা নিয়ে গেছে কি না, যা অপহরণের শামিল। গাছ বিক্রির কাঁচা টাকার জন্য, নাকি শান্ত ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য রাতের আঁধারে গাছ কাঁটা হয়েছে এর জবাবদিহি অবশ্যই প্রশাসনকে করতে হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে যৌথ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের এই হঠকারিতার উত্তম জবাব নিশ্চয়ই দেবো।

সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে অবিলম্বে রাতের আঁধারে চোরের মত গাছ কাটার নির্দেশ দাতা এবং সহযোগীদের চিহ্নিত করে দ্রুত জবাবদিহিতা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *