এলাকায় না থেকেও মামলার আসামি জাবি শিক্ষার্থী

এলাকায় না থেকেও মামলার আসামি জাবি শিক্ষার্থী

মো. মনসুর, জাবি প্রতিনিধি।

নিজ এলাকা বগুড়ায় না থেকেও মামলার আসামি হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (৪৬তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ খাঁন।

এলাকায় না থেকেও আসাদুল্লাহ খাঁন তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযোগকারীর উপর হামলার চেষ্টা করেন ও হুমকি দেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মামলাতে আসাদুল্লাহ খাঁনের বাবা ও ভাইসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আসাদুল্লাহ খাঁনের ভাই আসলাম খাঁনের বিয়ে হয়। তবে নানা কারণে আসলাম খাঁনের সঙ্গে তার স্ত্রী সংসার করতে অস্বীকৃতি জানান। এসব বিষয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। এরপর নিজের স্ত্রীকে ফিরে পেতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আসাদুল্লাহ’র ভাই। তবুও সমঝোতা না করে উল্টো আসাদুল্লাহ’র ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার পরিবারকে হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকেন।

এসব ঘটনার জেরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসাদুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আনোয়ার হোসেন সম্পর্কে আসাদুল্লাহ খাঁনের ভাই আসলাম খাঁনের মামা শ্বশুর।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন নিজের হাঁসের খামার দেখতে যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা পথরোধ করে তাকে নানা হুমকি দিতে থাকেন এবং মারধরের চেষ্টা করেন।

তবে আসাদুল্লাহ খাঁনের দাবি, ঘটনার দিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিজ বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে থিসিসের কাজ করছিলেন তিনি। এমনকি সেদিন ক্যাম্পাসে একটি আবৃত্তি সংগঠনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তার প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে ঘটনার দিন আসাদুল্লাহ খাঁনের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করার সত্যতা মিলেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ খাঁন বলেন, ‘আমাকে এবং আমার পরিবারের সবার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার ভাইকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি যৌতুকের মিথ্যা মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। অপরাধ না করেও আমাদের সবার স্বাভাবিক জীবন হুমকিতে। সামনে আমার বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষা। আমি মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত। এর আগেও আমাকে জড়িয়ে একটা মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পাই।’

মামলার বিষয়ে জানতে মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন ও মামলার বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *