জাবিতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করলো জাবি ছাত্রলীগ

জাবিতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করলো জাবি ছাত্রলীগ

কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি কিনে তা ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে বিক্রি করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে ন্যায্যমূল্যে এসব সবজি বিক্রি করেন তারা। এতে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন।

এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ন্যায্য মূল্যে সবজি কিনতে আসেন। তারা তাদের মত দেখে শুনে প্রয়োজনীয় সবজিটি কিনে নেন। আর ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই সবজি বিক্রি করছেন। এসময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল ইউনিটের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শীতকালীন এসব শাক-সবজির মধ্যে প্রতিটি লাউ ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ টাকা, মরিচ কেজিপ্রতি ৫৮ টাকা, বেগুন (গোল) ৩০ টাকা, পেয়াজ ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৩৮ টাকা, সিম ৪২ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৮ টাকা, বরবটি ৫৫ টাকা, ধনিয়া আঁটিপ্রতি ১০ টাকা, কুমড়া ১০০ টাকা, লালশাক আঁটিপ্রতি ১০ টাকা করে বিক্রি করেছে সংগঠনটি।

ছাত্রলীগের ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনতে আসা জেসমিন বেগম বলেন, ছাত্রলীগের এ উদ্যোগের ফলে আমরা সস্তায় সবজি কিনতে পারছি। এতে আমরা খুশি। এটা চলমান থাকা উচিত। কয়েকদিন চালিয়ে যদি এটা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমরা সুবিধা পাবো না। তারা প্রতিদিন সবজি বিক্রি করলে আমাদের অনেক উপকার হবে।

এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘আমরা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ন্যায্যমূল্যে এটি বিক্রি করছি। যাতে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের কোন ভোগান্তি না হয়। বিএনপি-জায়ামাত জ্বালাও পোড়াও করে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করছে। তাদের এই হরতাল-অবরোধের কারণে সারাদেশে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজির দাম বৃদ্ধি করেছে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেদিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রের নির্দেশনায় ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করছি।‘

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘দেশজুড়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। আমরা চাই মানুষ ন্যায্যমূল্যে এবং কম দামে যেন ভোগ্যপণ্য কিনতে পারে। মানুষের দ্বারে দ্বারে এ সেবা আমরা পৌছে দিতে চাই। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *