জাবিতে ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

জাবিতে ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

মো. মনসুর, জাবি প্রতিনিধি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্ত্বরে দিনব্যাপী এই আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। এর আগে, সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

প্রদর্শনীতে দেশভাগ থেকে স্বাধীনতা, স্বাধীনতার সংগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সংবাদপত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ, জাতির সূর্যসন্তান, শরণার্থী শিবিরসহ মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি প্রদর্শন করা হয়।

প্রদর্শনী শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, এই এধরনের অনুষ্ঠান নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষনীয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের সকলের কর্তব্য। আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে এই ইতিহাস উঠে আসলে তা আমাদের চেতনাকে নতুন করে জাগ্রত করতে সাহায্য করবে। ইতিহাস জানার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়ার জন্য এই ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব এই আলোকচিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে উদ্যোগ নেওয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।

জাবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, বিজয়ের এই দিনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধকে নতুন করে জানার সুযোগ করে দিবে। তরুণ প্রজন্ম আরো বেশি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত হবে।

জাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ একে-অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের মত এমন গৌরবোজ্জ্বল বিজয় পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তবে বর্তমান প্রজন্ম সেই গৌরবোজ্জ্বল বিজয়গাঁথা সম্পর্কে কমই ধারণা রাখেন। তাই আমরা তরুণ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। এতে দেশভাগ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত পুরো ইতিহাস সংক্ষিপ্ত আকারে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে বিশ্বাস করি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল হাসান, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট হোসনে আরা, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তার, জাবি প্রেসক্লাবের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *