জাবিতে হিস্ট্রি প্রিমিয়ার লীগে চ্যাম্পিয়ন ৪৯ ব্যাচ

জাবিতে হিস্ট্রি প্রিমিয়ার লীগে চ্যাম্পিয়ন ৪৯ ব্যাচ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইতিহাস বিভাগের আন্তব্যাচ ফুটবল টূর্ণামেন্ট হিস্ট্রি প্রিমিয়ার লীগে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিভাগের ৪৯ ব্যাচ।

বুধবার (৯ আগস্ট) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়েরর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৫০ ব্যাচকে ট্রাইবেকারে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে৷

খেলার শুরু থেকেই উভয় দলের পাল্টাপাল্টি আক্রমণে জমে উঠে খেলা৷ তবে প্রথমার্ধে উভয় দলই গোল শূন্য রেখে বিরতিতে যায়৷ বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু এবারেও গোলের দেখা নেই। তবে খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ৫০ ব্যাচ ১-০ গোলে এগিয়ে গেলে ধরেই নেয়া হয়েছিল, চ্যাম্পিয়ন বোধ হয় নির্ধারণ হয়ে গেছে। কিন্তু ৪৯ ব্যাচ কে বলা হয়ে থাকে কামব্যাকের জন্য সেরা। রাজকীয় সাদা জার্সি গায়ে ৪৯ ব্যাচ যেন সেই প্রতিচ্ছবিটিই তুলে ধরলো। দলের নৈপুণ্যে ঠিক শেষ মিনিটে দূর্দান্ত এক গোলে দলকে (৪৯ ব্যাচ) সমতায় ফেরান গোলরক্ষক তানভীর সাকিব।

সাকিব তার অনুভূতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন,”গোলরক্ষক হিসেবে আমার কাজ গোল ঠেকিয়ে দলকে সাহায্য করা। কিন্তু তুলনামূলক একটু লম্বা হওয়ায় দলের অধিনায়ক শেষ মুহুর্তে আমাকে কর্নার থেকে উপরে নিয়ে আসে হেড করার জন্য। কিন্তু সৌভাগ্য আমার যে দলের এই অন্তিম মুহূর্তে হেড দিয়ে নয় বরং দলীয় অধিনায়কের করা কর্নার কিক থেকে আসা বলকে ডান পায়ের শট এ জালে জড়াই।”

নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। ট্রাইবেকারে ২-১ গোলে জয়ী হয় ৪৯ ব্যাচ। ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করে গোলরক্ষক সেই তানভীর সাকিব (৪৯ ব্যাচ)। এবারের টূর্ণামেন্ট সেরা হন ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেলং খুমী। অসাধারণ সব গোল এবং এসিস্টের মাধ্যমে দলকে ফাইনালে নিয়ে আসেন এই খেলোয়াড়।

তিনি বলেন, “দিনশেষে ব্যাক্তিগত অর্জন ততটা ভ্যালু ক্রিয়েট করে না। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলে আরো ভালো লাগতো। তবে পরবর্তীতে আমরা কামব্যাক করবো, এই আশা রাখছি।”

ম্যাচ শেষে ট্রফি হাতে উচ্ছ্বসিত হয়ে দলীয় অধিনায়ক তানভীর ইবনে মোবারক বলেন, “ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আমি সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। এই কৃতিত্ব আমি দিতে চাই আমার ৪৯ ব্যাচের বন্ধুদেরকে। তারা তাদের সর্বোচ্চ ডেডিকেশন দিতে পেরেছি বলেই আজ আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। এছাড়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন থাকার কারণে সকলের একটা দাবি ছিল এই ট্রফি যেন হাতছাড়া না হয়। দলীয় অধিনায়ক সেই চাহিদা পূরণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমি বলতে চাই জয়ের এই ধারা ইতিহাস ৪৯ ব্যাচ অব্যাহত রাখবে।”

ফাইনালে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ও ক্রীড়া শিক্ষক পিংকি সাহা, সহকারী অধ্যাপক সাজেদা বেগম, প্রভাষক শারাফাত আদনান বিপ্লব সহ বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা৷ উল্লেখ্য, এবারের টূর্ণামেন্টের আয়োজনে ছিলো ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

এবারের আয়োজনে প্রতিটি মাচেই একটি গোলের বিনিময়ে একটি গাছ উপহার দেওয়া হয়৷ মূলত পরিবেশ রক্ষায় মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে গাছ লাগানোর প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এ ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা৷ এছাড়া টূর্ণামেন্টের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো গণিত শেখার প্লাটফর্ম ‘ম্যাথড’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *